ট্রাম্প-মাস্কবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় দেখা গেল হাজার হাজার মানুষের ঢল। চারপাশে শুধু প্ল্যাকার্ড আর স্লোগান, যাদের চোখে-মুখে একটাই ভাষা, প্রতিবাদ। ইতিহাসে এটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার ধনকুবের মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় গণজাগরণ।

একদিনে ১২০০টির বেশি জায়গায় হয়েছে বিক্ষোভ। ওয়াশিংটনের মনুমেন্ট ঘিরে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। সংগঠকরা জানান, এখানে শুধু একদিনেই জড়ো হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রায় ১৫০টি মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে এই প্রতিবাদের পেছনে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, কানাডা ও মেক্সিকোতেও দেখা গেছে একই রকম বিক্ষোভ। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, সরকারি চাকরিচ্যুতি, শুল্ক আরোপ, এমনকি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ- সবকিছুই তাদের উদ্বিগ্ন করেছে। তাদের মতে, আমেরিকার মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সরাসরি আক্রমণের মুখে। কেউ এসেছেন ইউক্রেনের পতাকা হাতে, কেউ বা ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ পরে। হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট বার্তা, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।

এ যেন শুধু ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ নয়, এক ধরনের বৈশ্বিক প্রতিবাদের মঞ্চ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী জানান, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিতে ক্ষুব্ধ তিনি। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা, কাজ হারাবে অসংখ্য মানুষ। অবসর ভাতা কমে যাবে, অনেকেই ইতোমধ্যে পড়েছেন হাজার হাজার ডলার ক্ষতির মুখে।

এই বিক্ষোভ শুধু আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস আর লন্ডনের রাস্তায়ও দেখা গেছে শত শত ট্রাম্পবিরোধী মার্কিন নাগরিকের সমাবেশ।

নিউজটি ফেসবুকে শেয়ার করুন ...
fb-share-icon





সম্পর্কিত সংবাদ

  • ইসরায়েলে ফের দাবানল, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
  • ভারত সীমান্তে অবস্থান শক্ত করছে পাকিস্তানি সেনারা
  • এবার ইউরোপের দেশেও কোকাকোলা বর্জনের ডাক
  • গ্রিনকার্ডধারীদের জন্য নতুন সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
  • পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা
  • ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
  • ইরানে বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪০
  • থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৬
  • Copy link
    URL has been copied successfully!