জবি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বৃহস্পতিবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আগামী ৭ ডিসেম্বর খুলতে এবং দ্রুত সেমিস্টার পরীক্ষা শুরুর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। টানা বন্ধ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার হয়নি। তবে সেমিস্টার পরীক্ষা চলার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে সেমিস্টার পরীক্ষায় বসতে চান শিক্ষার্থীরা। তবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) চূড়ন্ত সিদ্ধন্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) শিক্ষকদের এক মতবিনিময় সভা হয়। সভার আলোচনায় আগামী ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা চালু এবং অনলাইনে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে পরামর্শ এসেছে। এ ব্যাপারে অনেক শিক্ষকও একমত হন। ক্লাস-পরীক্ষা চালুর বিষয়ে শিক্ষকদের একাংশ মত দেন। আরেকাংশ বন্ধ রাখার জন্য মতামত দেন। তবে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ভবনের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ক্লাস বন্ধ রেখে পরীক্ষাগুলো শেষ করার মতামত দেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা।
এ সম্পর্কে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাইম বলেন, ‘সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা একটা হয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝে প্রায় ১৫ দিন ছুটি গেল, এটা এমন এক সময় ছুটি দিয়েছে অনেকে টিউশনের কারণে বাড়ি যেতে পারিনি। ভূমিকম্পের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তাই প্রশাসন এত সময় ছুটি না রেখে দ্রুত অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস সচল করে পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিতে পারে।’
এ সম্পর্কে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শান্তি আকতার বলেন, ‘এমনিতেই অনেক দিন গ্যাপ ছিল। আমার মনে হয় দ্রুত নিলে পরের কোর্স তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে, এখন সবার মন ঠিক আছে। যে ভয়টা এতদিন ছিল তা কমেছে। তাই যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেনো দ্রুত নিলে ভালো হবে। কারণ অনেক ভাইয়া আপুরা (শিক্ষার্থী) তো গ্রামে বেড়াতে গেছে। তাদের একটা প্রস্তুতি নিতে হবে।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী বুশরাত আক্তার বর্ষা বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত ভালো সিদ্ধান্ত। যদি দ্রুত খুলে আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করা হয় তবে আমরা কোনো সেশনজটে পড়ব না। পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হবে না৷ কবে খুলবে যেহেতু এখনও জানি না। তবে খোলার পর ২-৩ দিন সময় দিলে পরীক্ষা দেওয়া সুবিধা হবে।’
এ সম্পর্কে উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ক্লাস পরীক্ষা ও ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবারের (৪ ডিসেম্বর) সিন্ডিকেট সভায়। আমাদের ভবনগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। আমরা খসড়া একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তার ভিত্তিতেই আজ মিটিং হয়েছে। আমরা চলমান পরীক্ষাগুলো শেষ করার ব্যাপারে বলেছি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের জানাবে। বাকি সিদ্ধান্তগুলো সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া হবে।
এর আগে ভূমিকম্প আতঙ্কের কারণে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি আগামী ৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্পর্কিত সংবাদ
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
দেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সময়ে বারবার আফটার শকের জেরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যেরবিস্তারিত…
৪৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ৬৬৮ জনকে সুপারিশ
ডেস্ক নিউজ :: ৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে শিক্ষা ক্যাডারবিস্তারিত…
