ঘরের ভেতরে কীভাবে গড়ে তুলবেন ভাইরাস-বিরোধী সুরক্ষা বলয়?

করোনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তাই সচেতন হওয়ার সময় হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনার নতুন উপধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। করোনা প্রতিরোধে ঘর-বাড়ি সুরক্ষিত রাখা জরুরি। ঘরের ভেতর কীভাবে ভাইরাস-বিরোধী সুরক্ষা বলয় গড়ে তুলবেন, চলুন জেনে নিই-
১। বাড়িতে সংরক্ষণ করুন থার্মোমিটার, মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তা পরীক্ষা করতে পারবেন তাহলে।
২। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতি সকালে আর সন্ধ্যায় তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন।
৩। বাড়িতে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের জন্য জানালা সবসময় খুলে রাখুন। সবসময় সম্ভব না হলেও অন্তত ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দিন। এতে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল অব্যাহত থাকবে।
৪। জীবাণুনাশক দ্বারা বাড়ি এবং বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত ঘরবাড়ি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি।
৫। পরিবারের সদস্যরা সবাই এক তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না। ঘন ঘন কাপড় ও লেপ-তোষক রোদে দিন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজে রেখে হাঁচি-কাশি দিন। এতে জীবাণু ছড়াবে না।
৬। সঠিক পরিমাণে এবং নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। একটি গোছানো ডায়েট প্ল্যান, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম আর ইউমিউনিটি বৃদ্ধির চেষ্টা করুন।
৭। বাইরে থেকে ফিরে এবং হাঁচি-কাশি দেয়ার পর হাত অবশ্যই সাবান-পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিন। হাত ধোয়া সম্ভব না হলে ৭০% এলকোহলযুক্ত জীবাণুনাশক (Sanitizer) দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
৮। বন্য প্রাণি খাওয়া বা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। হাঁস-মুরগি ও ডিম সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন। কাঁচা বা আধা সেদ্ধ ডিম খাবেন না।
৯। অসুস্থ থাকলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভিড়যুক্ত স্থানে যাবেন না। বাইরে বের হওয়ার আগে মাস্ক পরুন। জীবাণু থেকে দূরে থাকতে সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরাই যথেষ্ট। মাস্ক পরা ও খোলার নিয়ম অনুসরণ করুন। মাস্ক পুনঃব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবার ব্যবহার এর পর হালকা গরম পানিতে সাবান গুলিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
১০। জনাকীর্ণ এলাকায় যাতায়াত বা অন্যান্য লোকের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন।
১১। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন বা কমিয়ে আনার/সীমিত রাখার চেষ্টা করুন। কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা পরিহার করুন এবং বিশেষ প্রয়োজনে মেলামেশার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং জীবাণুমুক্তকরণের দিকে মনোযোগ দিন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং মাস্ক পরুন।
সম্পর্কিত সংবাদ

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যেসব বিষয় নিয়ে তর্ক করে না
উচ্চ আইকিউ থাকার পাশাপাশি উচ্চ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ) থাকাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এটি ভালোভাবেবিস্তারিত…

ঈদ রেসিপি: খাসির মাংসের বিরিয়ানি
ঈদের দুপুরে বা রাতে একটু ভারী খাবার রান্না হয়। প্লেইন পোলাও মাংস না করে খাসিবিস্তারিত…