এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব বেড়েছে ২৫ লাখ

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল এজেন্ট ব্যাংকিং। যত দিন যাচ্ছে আরও জনপ্রিয় হচ্ছে এই খাত। ব্যাংকের সাথে লেনদেন তথা টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলনের জন্য সাধারণ মানুষকে এখন আর জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে ব্যাংকিং সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে ও উত্তোলন করতে পারছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলুট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে হিসাব সংখ্যা। এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২৫ লাখেরও বেশি। তবে হিসাব বাড়লেও এই সময়ে কমেছে লেনদেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৬টি; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৭টি। এক বছরে হিসাব বেড়েছে ২৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৯টি। গত ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০টি। সেটি তিন মাসে বেড়ে হয়েছে তিন লাখ ৯৮ হাজার ১২৬টি। এছাড়া আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ৮৬ হাজার ৭৫৬টি বেড়ে নারীদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩২টিতে। আর পুরুষদের এ সংখ্যা এক কোটি ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩০টি। এ সময়ে গ্রামে গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩টিতে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি সালের ফেব্রুয়ারিতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৩১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এক বছর আগে এ পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২৩৮ কোটি ৭২ লাখ কোটি টাকা; যা এই সময়ে বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৬২ হাজার ২৭৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তার আগের মাস জানুয়ারিতে হয় ৬৬ হাজার ২৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক বছর আগে লেনদেন হয়েছিল ৬৯ হাজার ২৯৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কমেছে লেনদেন। এক মাসে কমেছে তিন হাজার ৯৯০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর এক বছরে কমেছে সাত হাজার ২১ কোটি দুই লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণ হয়েছে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। আর গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বিতরণ হয়ছিল ১০ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও তিন মাসে কমেছে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১৯টি। আর ফেব্রুয়ারি শেষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৬০টিতে। সেই হিসাবে তিন মাসে এজেন্টের সংখ্যা কমেছে এক হাজার ৫৯০টি। এছাড়া ডিসেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ২৪৮টি। আর ফেব্রুয়ারি শেষে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৩টি। তিন মাসে কমেছে ২০৫টি।

নিউজটি ফেসবুকে শেয়ার করুন ...
fb-share-icon





সম্পর্কিত সংবাদ

  • ২৬ দিনে এলো ২২৭ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়
  • আইএমএফ ও এডিবির চেয়ে কম প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলো বিশ্বব্যাংক
  • একদিনের ব্যবধানে কমলো সোনার দাম
  • আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট মাত্রায় এসি চালানোর নির্দেশনা
  • ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয়
  • বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
  • জান-মালের নিরাপত্তা চাইলেন জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা
  • Copy link
    URL has been copied successfully!