ম্যারাডোনা ছাড়াও মেসির কাছে সর্বকালের সেরা যারা
বিশ্ব ফুটবলের সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় তিনি থাকবেন অবশ্যই। কিন্তু মেসির কাছে সর্বকালের সেরা কারা, তা জানতে সমর্থকদের আগ্রহের কমটি নেই। এবার মেসি কথা বলেছেন এসব নিয়েই, জানিয়েছেন তাঁর চোখে ক্রীড়াবিশ্বের সাতজন ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ বা ‘গোট’ কারা। সেই তালিকায় অবশ্যই সবার উপরে জায়গা পেয়েছেন তারই স্বদেশী আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিয়েগো মারাডোনা- যাঁকে শিশুকাল থেকেই মেসি নিজের আদর্শ মনে করতেন।
৩৮ বছর বয়সী মেসি এখনো দারুণ ফর্মে আছেন। যদিও মাঝেমধ্যে ইনজুরিতে পড়েছেন, তবুও চলতি ২০২৫ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৩৯ গোল, সঙ্গে ১৯টি অ্যাসিস্ট। তাঁর দল ইন্টার মায়ামি এবার এমএলএস কাপ জয়ের লড়াইয়ে নামছে- প্রথম পর্বেই মুখোমুখি হবে ন্যাশভিলের, দুই লেগে নির্ধারিত হবে পরবর্তী ধাপ।
এ মৌসুমে মেসির সতীর্থ সার্জিও বুসকেতস ও জর্দি আলবারও বিদায়ের বছর। বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে একাধিক শিরোপা জেতা এই দুই খেলোয়াড় এখন ইন্টার মায়ামিতেই ক্যারিয়ার শেষ করছেন। অনেকদিন ধরেই মেসির অবসরের সময় নিয়ে গুঞ্জন চলছে, তবে তিনি ইতোমধ্যে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি করেছেন যা চলবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৬ বিশ্বকাপের পরও তাঁকে মাঠে দেখা যাবে।
তবে মেসি চাইলে আগেও অবসর নিতে পারেন। কিন্তু এখনই তিনি ইন্টার মায়ামির হয়ে অন্তত এক বা দুই মৌসুম আরও খেলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্লে-অফ শুরুর আগে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানালেন তাঁর চোখে ক্রীড়াবিশ্বের সাতজন সেরা কিংবদন্তির নাম। তাঁর তালিকার শুরুতেই আছেন মারাডোনা। শৈশব থেকেই যাঁকে তিনি আদর্শ মানতেন। মারাডোনাই ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন যা বহু বছর ধরে মেসির সঙ্গে তুলনার মাপকাঠি হয়ে ছিল। অবশেষে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে সেই বিতর্কে সমতা ফেরান মেসি।
২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচও ছিলেন মারাডোনা। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও তাঁর অধীনে খেলেছিলেন মেসি। এনবিসিকে মেসি বলেন, “আমাদের আর্জেন্টাইনদের জন্য মারাডোনা ছিলেন সবচেয়ে বড় আইডল, সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ছোটবেলায় তাঁকে লাইভ খেলতে দেখেছি। তিনি শুধু ফুটবলে নয়, সবকিছুতেই ছাপ রেখে গেছেন।”
অন্য খেলাগুলোর প্রসঙ্গে মেসি বলেন, “যেমনটা মারাডোনার ক্ষেত্রে ঘটেছে, তেমনই হয়েছে মাইকেল জর্ডানের ক্ষেত্রেও। তিনি নিজের খেলাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।” টেনিসের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথাও জানান মেসি। “আমি সত্যিই ফেদেরার, নাদাল আর জকোভিচকে অনেক শ্রদ্ধা করি। এই তিনজন টেনিসকে আগের চেয়ে অনেক বড় করেছে। তারা একে অপরের সঙ্গে এত বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খেলাটাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে।”
এরপর মেসি আরও বলেন, “নিশ্চয়ই আরও অনেক ক্রীড়াবিদ আছেন, যাঁদের নাম মনে পড়ছে না। কিন্তু কিছু নাম বললে—বাস্কেটবলের লেব্রন জেমস, স্টেফ কারি—এরা সবাই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। প্রত্যেকে তাঁদের নিজ নিজ খেলায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন।”
সাক্ষাৎকারে মেসির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি ২০২৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলবেন? মেসির উত্তর, “আমি অবশ্যই খেলতে চাই।” তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে থাকা মানেই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি চাই সেখানে থাকতে, নিজের সেরাটা দিতে এবং জাতীয় দলকে সাহায্য করতে। আগামী মৌসুমে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে প্রি-সিজন শুরু হলে আমি দেখব আমার শারীরিক অবস্থা কেমন, আমি কতটা ফিট আছি। যদি মনে হয় আমি দলে অবদান রাখতে পারব, তাহলে নিশ্চয়ই থাকব।”
সম্পর্কিত সংবাদ
নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সময়সূচি
ক্রীড়া ডেস্ক :: নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল লাইনআপ চূড়ান্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ওবিস্তারিত…
মিয়ামিতেই থাকছেন মেসি, করলেন নতুন চুক্তি
ইন্টার মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন লিওনেল মেসি। বৃহস্পতিবার ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়,বিস্তারিত…
