রিজিকের জন্য কোরআনের দোয়া: হজরত ঈসা (আ.)-এর আমল
রিজিকের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা। এ বিশ্বাস প্রতিটি মুমিনের অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে থাকে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবী হজরত ঈসা (আ.)-এর একটি বিশেষ দোয়া উল্লেখ করেছেন, যা রিজিকে বরকত ও অভাবমুক্তির জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কোরআনে বর্ণিত সেই দোয়া
আরবি: اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রব্বানা আনযিল আলাইনা মায়িদাতাম মিনাস সামায়ি তাকুনু লানা ঈদাল্লি আওওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা ওয়া আনতা খায়রুর রাযিকিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের রব! আমাদের জন্য আকাশ থেকে একটি খাবার ভর্তি খাঞ্চা (মায়িদা) নাজিল করুন, যা আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্য আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে নিদর্শন হবে। আর আমাদের রিজিক দিন, আর আপনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।
দোয়াটির তাৎপর্য
এ দোয়াটির মাধ্যমে শুধু দুনিয়াবি রিজিকই চাওয়া হয়নি; বরং আল্লাহর নিদর্শন ও তাঁর প্রতি বিশ্বাসকে দৃঢ় করাও এর মূল উদ্দেশ্য। এটি রিজিকের প্রাচুর্য, বরকত এবং আত্মিক ও জাগতিক শান্তি লাভের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনা।
কীভাবে পড়বেন ও আমল করবেন?
ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এ দোয়াটি পড়লে আল্লাহর রহমতে রিজিকে বরকত হয় এবং অভাব দূর হয়। এটি সকাল-সন্ধ্যা বা নামাজের পর পড়া যায়। আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে এ দোয়াটি নিয়মিত আমলে আনতে পারেন মুমিনরা।
দোয়া কবুলের শর্ত
দোয়া কবুলের জন্য হালাল রিজিক, ইখলাস বা একনিষ্ঠতা এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা জরুরি। হজরত ঈসা (আ.)-এর এ দোয়া যেমন আল্লাহ পছন্দ করেছেন, তেমনি তিনি প্রতিটি মুমিনের দোয়াই শ্রবণ করেন।
আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়াটি নিয়মিত পড়ার তাওফিক দান করুন। তিনি যেন আমাদের সকলের রিজিকে বরকত দান করেন এবং যাবতীয় অভাব থেকে মুক্তি দেন। আমিন।
সম্পর্কিত সংবাদ
পরিশুদ্ধ জীবন গড়ার ৫ সহজ আমল
আত্মশুদ্ধি ও পরিশুদ্ধ জীবনই হলো ইহকালীন ও পরকালীন সফলতার মূল চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,বিস্তারিত…
হাদিসে ভবিষ্যদ্বাণী: আজ কেন ইলমহীন বক্তা বেশি?
কেয়ামতের ছোট নিদর্শনগুলো একে একে প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে একটি অন্যতম হলো- ইলমহীন বক্তাদের প্রভাববিস্তারিত…
