নতুন স্থানে পরমাণু কর্মসূচি শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিদর্শনের অনুমতি বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরান নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এ তথ্য জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন গত মাসে মার্কিন হামলার পর তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘স্থায়ীভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে’। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ইরান অন্য কোনো স্থানে তাদের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, সোমবার হোয়াইট হাউসে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে ইরান নিয়ে আলোচনা করবেন, যেখানে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আলোচনার শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের অন্য কোনো জায়গা থেকে শুরু করা উচিত এবং যদি তারা শুরু করে, তবে এটি একটি সমস্যা হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোনোভাবেই তিনি তেহরানকে পুনরায় পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কাজ শুরু করতে দেবেন না।’
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইরানের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান না।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু ব্যবহার করে ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা হয়। হামলার পরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ন ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে মার্কিন গোয়েন্দারা তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নে জানিয়েছেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদান ধ্বংস হয়নি। এ হামলা দেশটির পারমাণবিক কার্যক্রম শুধুমাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
মূল্যায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস হয়নি। অপর একজন জানিয়েছেন, দেশটির পারমাণবিক সেন্ট্রিফিউজের বেশিরভাগই অক্ষত রয়েছে। যার অর্থ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কাঠামো ধ্বংস করতে পারেনি। বরং তাদের হামলা ইরানি পারমাণবিক কার্যক্রমকে শুধুমাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ পরিচালিত আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সংস্থাটির নজরদারি ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। এরপর থেকে আইএইএর পরির্দশকরা ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারেনি।
শুক্রবার আইএইএ জানিয়েছে, ইরান থেকে তারা তাদের পরিদর্শকদের প্রত্যাহার করেছে। তবে আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার পরিদর্শন তাদের প্রথম অগ্রাধিকারমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা
সম্পর্কিত সংবাদ

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে হামলা করল ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙ্গে লেবাননে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননে একটি বাড়ি, একটি কাপড়েরবিস্তারিত…

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১১৮বিস্তারিত…