অসুস্থতা অভাব অসহায়ত্ব একসাথে হলে এই দোয়াটি পড়ুন
দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। দোয়া কবুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেন। বান্দার যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট ও অসহায়ত্ব দূর করে দেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বান্দাদের উদ্দেশে বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। কিছু দোয়া রয়েছে মাকবুল তথা কবুল হয়েছে এমন। এখানে এমন একটি তুলে ধরছি, যা আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন এবং তাঁর পছন্দ হওয়ায় পবিত্র কোরআনেও তুলে ধরেছেন।
দোয়াটি হলো- اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ উচ্চারণ: ‘আন্নী মাসসানিয়াদ দুররু ওয়াআনতা আরহামার রা-হিমীন।’ অর্থ: ‘আমি তো দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
এই দোয়াটি করেছিলেন আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব (আ.)। দীর্ঘদিন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। অবস্থা এমন হয়েছিল যে অসুস্থতার দিনগুলোতে তাঁর সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব সবাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন। তাঁর ফরিয়াদ বা দোয়ার ভাষা লক্ষ করলে দেখবেন, খুবই সূক্ষ্ম, নমনীয় ও সুন্দর। সংক্ষিপ্ত বাক্যের মাধ্যমে নিজের কষ্ট ও অসহায়ত্বের কথা বলে যাচ্ছেন এবং এরপর এই বলে থেমে যাচ্ছেন- ‘আপনি করুণাকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’ কোনো অভিযোগ নেই, কোনো কিছুর দাবি নেই। তাতে মহান আল্লাহ খুশি হয়ে গেলেন এবং তাঁর দোয়া কবুল করলেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং আরো দিলাম তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ, আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ রহমতরূপে এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৪)
দোয়াটি আমরাও পড়তে পারি। বিশেষ করে অসুস্থতার কষ্ট, অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্য একসাথে হলে দোয়াটি পড়া উত্তম। তাছাড়া যে দোয়া আল্লাহর পছন্দ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ নেই, সেই দোয়া পড়াই উচিত। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান
সম্পর্কিত সংবাদ
রিজিকের জন্য কোরআনের দোয়া: হজরত ঈসা (আ.)-এর আমল
রিজিকের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা। এ বিশ্বাস প্রতিটি মুমিনের অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে থাকে। পবিত্র কোরআনেবিস্তারিত…
পরিশুদ্ধ জীবন গড়ার ৫ সহজ আমল
আত্মশুদ্ধি ও পরিশুদ্ধ জীবনই হলো ইহকালীন ও পরকালীন সফলতার মূল চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,বিস্তারিত…
