নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়তে বললো ইউক্রেন, জরুরি অবস্থা জারির পথে কিয়েভ
ইউক্রেন রাশিয়ায় থাকা তার দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে সে দেশ ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যে এ নির্দেশনা এলো।
বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়, রাশিয়ায় আনুমানিক ৩০ লাখের বেশি ইউক্রেনিয়ান বসবাস করেন।
একই সময়ে ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভসহ সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের ভেতরে রুশ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নতুন করে যুদ্ধে শঙ্কা বাড়িয়েছে। বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী হামলা চালালেই সে যুদ্ধ লেগে যাবে।
ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন বিশ্বের বহু দেশের নাগরিকরা। সেখানে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা দিন পার করছেন উৎকণ্ঠায়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশপন্থী বিদ্রোহী অধ্যুষিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার শত শত নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউক্রেন।
পশ্চিমাদের সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চল- দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একই সঙ্গে তিনি এ অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে রুশ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন।
রাশিয়ার এ ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমের বন্ধুদেশগুলো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ অব্যাহত রাখলে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমের সঙ্গে মস্কোর সব রকম অর্থনৈতিক লেনদেনে আপাতত দাঁড়ি পড়ে গেল। বাইডেন জানিয়েছেন, দেশ হিসেবে শুধু রাশিয়া নয়, সে দেশের বৃহৎ উদ্যোক্তাদের জন্যও বন্ধ পশ্চিমের বাজার। পাশাপাশি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক ভিইবি এবং মিলিটারি ব্যাংকের উপরও জারি হবে এ নিষেধাজ্ঞা।
দেশের বাইরে সেনা শক্তির ব্যবহারে রাশিয়ার পার্লামেন্ট সবুজ সঙ্কেত দেয়ার পরই হোয়াইট হাউসের তরফে এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগেই ইউরোপের বাজার রাশিয়ার জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার যুক্তরাষ্ট্রও একই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল।
তবে শুধু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই নয়, ইউক্রেন সঙ্কট সামাল দিতে কিয়েভকে যুদ্ধাস্ত্র দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘ন্যাটোর এলাকা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। যে কোনও মূল্যে তা রক্ষা করা হবে। এ কারণেই ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তবে এ মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর কোনও সম্ভাবনা যে যুক্তরাষ্ট্রের নেই, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার উপর এক তরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলেও মূলত গ্যাস ও তেলের জন্য গোটা ইউরোপ নির্ভর করে পুতিনের দেশের উপর। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে চাপানো নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপে তেলের দাম আকাশ ছোয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে তেলের দামের মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি হলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Related News
বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর এখন কাতারে
বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের তকমা এখন আর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নেই। এই জায়গা দখল করে নিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন ..
ভারতে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাওবাদী নেতাসহ নিহত ২৯
ভারতের মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ছত্তিশগড়ে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভয়াবহ সংঘর্ষে শীর্ষ মাওবাদী নেতাসহবিস্তারিত পড়ুন ..