এবার ক্লাব পাল্টাচ্ছেন রোনালদো-এমবাপ্পে !

লিওনেল মেসির পর এবার ক্লাব পাল্টানোর তালিকায় নাম উঠছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পের। ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস ছেড়ে রোনালদো যাবেন ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবে আর এমবাপ্পের স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদে। যদিও ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত নয় এখনো। তবে রোনালদো একটি টুইটে জুভন্টাসকে জানিয়ে দিয়েছেন তাকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়। জুভেন্টাসে আর খেলার ইচ্ছে নেই তার। দলবদলবিষয়ক নির্ভরযোগ্য ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠে রোনালদোর ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়াটা এখ কোন পর্যায়ে আছে। ইংলিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রধান ফুটবল প্রতিবেদক মিগেল ডেলানি তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন, সিটির সঙ্গে রোনালদোর দুই বছরের চুক্তি হয়ে গেছে। মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক ‘এএস’কে উদ্ধৃত করে একই খবর দিয়েছে ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন।

এদিকে রিয়াল এরই মধ্যে এমবাপ্পের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজিকে। প্রস্তাবটা প্রথমে ছিল ১৬ কোটি ইউরো, তারপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াল। কিন্তু এমবাপ্পের মতো একজন প্রতিভাকে এত ‘কম দামে’ ছাড়তে রাজি নয় পিএসজি।

প্যারিসের ক্লাবটি জানিয়ে দিয়েছে, এই প্রস্তাব যথেষ্ট নয়। তারা রিয়ালের প্রথম প্রস্তাবটা ফিরিয়েও দিয়েছে। এটা পরিষ্কার যে এমবাপ্পেকে পেতে প্রস্তাবটা আরও বড় অঙ্কেরই দিতে হবে রিয়ালকে। স্পেন, ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের খবর, অন্তত ২০ কোটি ইউরো চায় পিএসজি!

কিন্তু ফুটবল বিশ্বে আলোচনা—করোনাকালে যেখানে সব ক্লাবই আর্থিকভাবে নড়বড়ে, রিয়াল সভাপতি পেরেজই যেখানে মাস দুয়েক আগে এই ‘অর্থকষ্ট’কে কারণ দেখিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছিলেন—এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন, রিয়ালের স্টেডিয়াম এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সংস্কারকাজও চলছে…এমন টানাটানির দিনে রিয়াল এমবাপ্পেকে পেতে এত টাকা কোথায় পাচ্ছে?

এই তো গত এপ্রিলেই রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছিলেন, ফুটবল রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। তার ভাষ্য ছিল, বিদ্রোহী লিগ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ছাড়া রিয়ালের মতো ক্লাবও টিকে থাকতে পারবে না। তাহলে এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তিটা কীভাবে সম্পন্ন করবেন পেরেজ? ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকমের স্প্যানিশ লিগবিষয়ক প্রতিবেদক রিক শর্মা সেটি ব্যাখ্যা করেছেন।

অনেক বছর ধরেই এমবাপ্পেকে অনুসরণ করে আসছেন পেরেজ এবং সব সময় তার কণ্ঠে ফরাসি স্ট্রাইকারের প্রশংসাই শোনা যায়। এমবাপ্পেকে দলে টানার কথা কয়েক মৌসুম ধরেই ভাবছে রিয়াল। আর এমবাপ্পেও রিয়ালে নাম লেখানোর স্বপ্ন দেখে আসছেন আগে থেকেই। কিন্তু ফিফার আর্থিক সংগতির নীতি এখানে একটা বিষয়। পেরেজ অবশ্য আগে থেকেই এমন কিছুর জন্য রিয়ালকে তৈরি করে রেখেছেন।

এ মৌসুমে একমাত্র ডেভিড আলাবাকেই দলে টেনেছে রিয়াল, তা-ও আবার কোনো দলবদল ফি ছাড়াই। মাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে এডেন হ্যাজার্ড, লুকা ইয়োভিচদের কেনা বাদ দিলে গত কয়েক মৌসুমে পেরেজ বড় কোনো কিছুর জন্য অর্থ জমা করে রেখেছেন কম খরচে তুলনামূলক তরুণ ফুটবলার দলে ভিড়িয়ে। অন্যদিকে বার্সেলোনার দিকে তাকালে দেখবেন, তারকার পর তারকা দলে টেনে ৪৫ কোটি ১০ লাখ ঋণাত্মক ব্যালেন্স তৈরি করেছে। আর রিয়ালের মূল্যমান এখন ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।






Related News

  • গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • শতবছর পর নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হলো ঐতিহাসিক মসজিদ
  • ঈদ উপলক্ষে ২ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিলেন মরক্কোর রাজা
  • ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ১২, আহত ১৪
  • পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প
  • নিউইয়র্কে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
  • আরব বিশ্ব ইসরায়েলকে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত: বাইডেন
  • %d bloggers like this: