করোনা সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ৪১ টি জেলা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। দিন দিন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি দিকে যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু। বুধবার (২৪ জুন) নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৭ জন, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ। দুই মাসের বেশি সময় পর এদিন রোগী শনাক্তের হারও ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এছাড়া গতকাল করোনায় মারা গেছেন ৮৫ জন।

দেশের এই পরিস্থিতি বিবেচনায় গত এক সপ্তাহের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনা করে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলার তালিকা চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪১টিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া আরও ১৫টি জেলা আছে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে। সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে আছে ৮টি জেলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুলনা বিভাগের দশটি জেলার সব কটিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে ৬টি অতি উচ্চ ঝুঁকিতে, দুটি আছে উচ্চ ঝুঁকিতে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সাতটি জেলা আছে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে।

রাজধানীসহ দুটি জেলা আছে উচ্চ ঝুঁকিতে আর চারটি জেলা আছে মধ্যম ঝুঁকিতে। রংপুর বিভাগের পাঁচটি অতি উচ্চ এবং ৩ টি জেলা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামসহ ছয়টি জেলা অতি উচ্চ, তিনটি জেলা উচ্চ এবং একটি জেলা মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ। বরিশাল বিভাগে তিনটি জেলা অতি উচ্চ ঝুঁকিতে এবং মধ্যম ঝুঁকিতে তিনটি জেলা। সংক্রমণ এখনো তুলনামূলক কম সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে।

কয়েকটি জেলায় লকডাউন দেওয়া হলেও উত্তর ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না; বরং তা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এখন পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে খুলনা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৩৬ জনই ছিলেন এই বিভাগের।

এই বিভাগের খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুরে রোগী বাড়ছে দ্রুত। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়ায়ও রোগী বাড়ছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূচকে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকায় লকডাউন হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম মুখপাত্র রোবেদ আমিন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, আশপাশের মানুষজনকে ঠেকিয়ে রাখতে না পারলে ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রয়োজন হতে পারে।

স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।






Related News

  • পবিত্র শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি
  • সীমান্তে উত্তেজনা: বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল
  • দ্বিতীয় দিনের বয়ান চলছে বিশ্ব ইজতেমায়
  • আবারও স্পিকার নির্বাচিত হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
  • সংসদের শুরুর দিনে ‘কালো পতাকা’ মিছিল করবে বিএনপি
  • পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
  • ডিসেম্বরে সড়কে নিহত ৫১২, মোটরসাইকেলেই ৪১ শতাংশ
  • শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই দিন থাকতে পারে
  • %d bloggers like this: